ক্যানসারের চিকিৎসা কী কুরআনে আছে?

আরটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয় ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন’। এ অনুষ্ঠানে কুরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম।

প্রশ্ন: ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের কুরআনের আলোকে চিকিৎসা কী?
উত্তর: কুরআন শরীফ কোন চিকিৎসা করে না। নিরাময়ে সাহায্য করে। কুরআনের শব্দ তরঙ্গ মানুষের ব্রেইন, হার্ট এর সেলগুলোতে একধরনের ইন্টেলেকচুয়াল প্রবাহ ডাউনলোড করে দেয়। আর ইমামের কেরাতের যে শব্দ তরঙ্গ সেখান থেকে ব্লাড ক্যানসার নিরাময় হতে পারে। কুরআনে বলা আছে, রাতকে আমি আধারের চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। তাই রাতের বেলায় আলো জ্বালিয়ে ঘুমানো নবীজীর সুন্নাতের খেলাফ।

এখনকার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেন, আমাদের কানের উপরে ব্রেইন থেকে মেলাটনিন নামক একধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়, সেটা তখনি নিঃসরণ হয় যখন চোখ ব্রেইনকে এইরকম কমান্ড দেয় যে চারদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। এই মেলাটনিন সারাদেহে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে আমাদের ক্যানসার নিরাময়ে সাহায্য করে। একারণেই নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময় অন্ধকারে ঘুমানোর কথা বলতেন।

প্রশ্ন: যাকাতের টাকা কী শুধু জিলহজ্জ মাসেই দিতে হবে নাকি বছরের অন্যান্য মাসেও দেয়া যাবে।
উত্তর: সাধারণত রমজান মাসকেই সারাবিশ্বে যাকাত দেয়ার মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেহেতু রমজান একটি ফজিলতের মাস। তবে দাতা চাইলে যেকোনো মাসেই দিতে পারে।

প্রশ্ন: কবর নদীতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে কবর কি সরিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে? ইসলামী শরিয়তে এ বিষয়ে কি হুকুম আছে?
উত্তর: কবর তো মুমিনের একটা বাড়ি। এটা পরকালের প্রথম বাড়ি। কোন মুসলিমকে কবর দেয়া হলে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটা বাড়ি দেবেন। সাহাবাদের সময়েও কবর স্থানান্তরের বিষয় ছিল। প্রয়োজন হলে কবর স্থানান্তর করা যাবে। উৎস: আরটিভি অনলাইন।